কাগজ আছে বগলে, জমি নাই দখলে। আবার কাগজও আছে, দখলও আছে, কিন্তু ভূমি অফিসের লোকজন চক্রান্ত করে জমিটি অর্পিত সম্পত্তি করে রেখেছে। সরকার খ-তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন করলেও ভূমি অফিসের এক শ্রেণির দালাল আর ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে পদে পদে হয়রানি হতে হচ্ছে। ২০/২৫ হাজার টাকার নিচে জমির খারিজ দিচ্ছে না।নিজেদের জমি নিয়ে এভাবেই মনের খেদ, আক্ষেপ আর ক্ষোভের কথা জানালেন যুগ যুগ ধরে পাহাড়ে বসবাস করে আসা শেরপুরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা। তারা সকল জটিলতার অবসান করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী হারিয়াকোনা চার্চ সেমিনার হলরুমে সোমবার দুপুরে আয়োজিত ‘আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও ভূমি ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা তুলে ধরেন।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)-এর সহায়তায় নাগরিক সংগঠন জন উদ্যোগ, কালচারাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিসি) ও শ্রীবরদী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শ্রীবরদী টিডব্লিউএ সম্পাদক প্রাঞ্জল এম সাংমা।জন উদ্যোগ আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে হারিয়াকোনা ব্যাপ্টিস্ট মন্ডলীর সভাপতি পাস্টার এলিয়ো মৃ, হোসিও ম্রং, বিহার জাম্বিল, সাংবাদিক সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, রেজাউল করিম বকুল, এনজিওকর্মী সোলায়মান আহমেদ, সুমন্ত বর্মনসহ আদিবাসী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হাকিম বাবুল। এতে গারো, কোচ, হাজং, বর্মন, রাজবংশীসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।হাকিম বাবুল/বিএ
Advertisement