কালো তরমুজ চাষ করে সফল হওয়ার পর কৃষক আনোয়ার এবার চাষ করেছেন হলুদ তরমুজের। দেখলে চোখাজুড়িয়ে যায় আর খেতেও রসালো ও সুস্বাদু এই তরমুজ। বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলারামপুর মাঠে আনোয়ার হোসেনের খেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখতে যেন হলুদের সমারহ। জেলায় এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। তাই এ তরমুজ চাষ দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
Advertisement
তিনি গত বছর কালো তরমুজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তাই ইউটিউব দেখে এবার করেছেন হলুদ তরমুজের চাষ। চায়না জাতের এ তরমুজ চাষেও সফল হবেন বলে আশাবাদী কৃষক আনোয়ার।
চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর তিনি ৬৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এর মধ্যে হলুদ তরমুজ চাষ করেন ২০ শতক জমিতে এবং বাকি ৪৫ শতক জমিতে চাষ করেন কালো তরমুজ। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার তরমুজ আছে জমিতে। আর পনের-বিশ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হবে এই সব তরমুজ। তাই বর্তমানে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে আনোয়ারের।
এখন পর্যন্ত হলুদ তরমুজ চাষে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। বর্তমান বাজারে হলুদ জাতের তরমুজের প্রতি কেজির দাম প্রায় একশ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দশ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন আনোয়ার।
Advertisement
তিনি আরও জানান, তরমুজ চাষ শুরু থেকেই তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার।
সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। চাষি আনোয়ার এ লাকায় প্রথম তরমুজ আবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা করা হয়েছে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আনোয়ার হোসেন ২০২০ সালে ইউটিউব দেখে কালো তরমুজ চাষ শুরু করেন। সে সময় তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
এবারও তিনি কালোর পাশাপাশি ২০ শতক জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। হলুদ তরমুজ চাষে কুমিল্লার মাটি বেশ উপযোগী। কালো ও হলুদ তরমুজ রসালো। খেতেও সুস্বাদু।
Advertisement
এমএমএফ/এমএস