নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দুই দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক মোটরসাইকেল-চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
মরদেহ উদ্ধার নিয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছায়া তদন্তে নেমেছে। নিহতমোটরসাইকেল-চালক হলেন- মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দেওথান এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম রাজীব (২২)। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
শুক্রবার (৭ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সোয়াইর ইউনিয়নের ভাটিয়া গ্রামের শেখ ইসলামের পুকুর পাড়ে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন রেজাউল করিম রাজীব।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে ভাড়ার লোক নিয়ে মোহনগঞ্জ সদর থেকে উপজেলার আদর্শনগরের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে যান রাজীব। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাটিয়া গ্রামের বাসিন্দারা পুকুরে মাটিখোড়া অবস্থায় বস্তাচাপা দেয়া দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাপা দেয়া মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় রাজীবের মরদেহ উদ্ধার করে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ভাটিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আব্দুল কালাম মেম্বারের বাড়ি থেকে রাজীবের মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এর সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলে জানান তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা দুইজনের নাম-পরিচয় তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখছেন জানিয়ে ওসি বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর কুমার দাস জানান, রাজীবকে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এই হত্যাকাণ্ড কেন সংঘটিত হয়েছে, কারা এই হত্যায় জড়িত তা বের করতে পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে।
এইচ এম কামাল/এআরএ/এএসএম
Advertisement