মতামত

বাধার পাহাড় টপকে বঙ্গবন্ধু কন্যার দ্বিতীয়বার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন!

হামজা রহমান অন্তরপিতা ও কন্যার মাঝে মিল অনেক। পিতার যতো স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাকে ঘিরে, তা কন্যা কাঁধে তুলে নিয়েছেন বহু আগেই। পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একবার, কিন্তু কন্যার দুবার। ক্ষমতায় আসা তার জন্য অনেক সংগ্রামের ছিল পিতার মতোই। অনেক লড়াই আর সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসেন। এর আগে দুইবার বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি আলো ছড়ান পিতার মতোই, পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনেন শান্তির নীড়। স্বাধীনতার পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।

Advertisement

২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে তাকে আবার বিরোধীদলীয় নেত্রী বানানো হয়। খালেদা-তারেক ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতি গংরা দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদে চ্যাম্পিয়ন করে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাতারে। তারেক রহমানের হাওয়া ভবনের দাপটে দেশের অর্থনীতি হয়ে যায় ভঙ্গুর। মেয়াদ শেষ করেই খালেদা জিয়া সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তার দলের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদকে 'নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক' সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানান। বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করতে 'দেড় কোটি ভুয়া ভোটার' এর প্রহসনের নির্বাচন সাজানো হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি কঠোর কর্মসূচি দিলেন, খালেদা-ইয়াজউদ্দীন গংরাও যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতা চায়। এমতবস্থায় দেশ যখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অসাংবিধানিক উপায়ে দেশ চলে যায় ৩ উদ্দীনের হাতে।

১১ জানুয়ারি ২০০৭; রাষ্ট্রপতির আদেশে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ১২ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। কিন্তু ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সেনাপ্রধান মঈনউদ্দীন আহমেদ। সেনাপ্রধান মঈনউদ্দীন আহমেদকে সরাসরি ক্ষমতা নিতে অনুরোধ করেছিলেন খালেদা জিয়া। সামরিকতন্ত্রে সৃষ্ট দলের সামরিকতন্ত্র প্রীতি অস্বাভাবিক না যদিও। ড. ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হবার গুঞ্জনও ছিল, গুঞ্জন ছিল রাজনৈতিক দল গঠনেরও। শোনা যায় ড. ফখরুদ্দীনের নাম তিনিই প্রস্তাব করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এর দুই মাস পর ১৫ মার্চে অসুস্থ পুত্রবধূকে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। 'উদ্দীনদের' সরকার এসময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে বিদেশে রেখে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকেও বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। সেই কুখ্যাত 'মাইনাস টু' ফর্মুলা, আদতে যা ছিলো 'মাইনাস ওয়ান' ফর্মুলা। কারন এক শেখ হাসিনাকে প্রতিরোধ করতে পারে নাই বলেই 'উদ্দীনদের' সেই অনির্বাচিত সরকারের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন হয়নি। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হঠাৎ ঘোষণা করলেন, ‘দেড় বছরের আগে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।’ শেখ হাসিনা বুঝলেন বাতাস অন্য দিকে বইছে। ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সিইসির এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব করলে জনগণের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে। যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।’ শেখ হাসিনার এমন প্রতিবাদী বক্তব্য 'উদ্দীনরা' সহজভাবে গ্রহণ করেনি।

Advertisement

মাত্র ৩ দিনের মাথায় ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার সাজানো চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। চাঁদাবাজির মামলার ২ দিন পর ৬ মাস আগের ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে সহিংসতার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪২ জন দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। সরকার এবং তাদের নীতিনির্ধারকদের ধারণা ছিল, মামলার কথা শুনে শেখ হাসিনা হয়তো ভরকে যাবেন, এবং হয়তো দেশেও আসবেন না। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো এর উল্টোটা।

১১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে এক সভায় সাহসী মুজিবের দুঃসাহসী কন্যা দৃপ্ত কন্ঠে বলেন, ‘প্রয়োজনে জীবন দেব কিন্তু কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।’ ওই দিনই বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জননেত্রী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আনা হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আইনি পথেই মামলার মোকাবিলা করা হবে। হেয় করতেই এ মামলা দেয়া হয়েছে। আমি নির্ধারিত তারিখের আগেই আমার দেশে ফিরে যাব। ইতিমধ্যে বিমানের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে।’

শেখ হাসিনার দেশে আসার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। আরো ৯ দিন এগিয়ে তিনি ১৪ এপ্রিল দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড এবং দেশে ফেরার তারিখ এগিয়ে আনায় 'উদ্দীনদের সরকার' কিছুটা পিছু হটে। সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত তারিখে দেশে ফিরতে শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ১১ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সরকারের একজন উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের নেত্রী এবং ঢাকায় আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা নেত্রীর দেশে আসার তারিখ পরিবর্তন না করে পূর্ব নির্ধারিত ২৩ এপ্রিল আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।’

এই সুযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিকল্পনা করে বিএনপির চেয়ারপার্সনকেও বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার। সরকার ধরে নিয়েছিলো, যেহেতু খালেদা জিয়ার দুই পুত্র চরমভাবে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, এমন চাপের মুখে তিনি বিদেশে যেতে রাজি হবেন এটাই স্বাভাবিক। হলোও তাই। বেগম জিয়া তার দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ হরেক রকম বড় বড় অভিযোগ থাকায় অগত্যা তারেককে রেখে কোকো আর দুই পুত্রবধূকে সাথে নিয়েই বিদেশে যেতে রাজি হন বেগম জিয়া। এসময় এটা জানাজানি হয়ে যায়। ২১ এপ্রিল বেগম জিয়া কারাগারের বাইরে বিশেষ ব্যবস্থায় গোপনে বন্দী পুত্র তারেকের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। তখন বিএনপি নেত্রীর বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে সবাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যায়।

Advertisement

শেখ হাসিনা বিষয়টি ভেবে উদ্বিগ্ন হলেন। তৎকালীন বড় ২ দলের শীর্ষ ২ নেত্রী বিদেশে থাকলে জিয়া-এরশাদ স্টাইলের 'উদ্দীনময় সরকার' আবার ৫-৭ বছরের জন্য ক্ষমতায় জেঁকে বসবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত হবে। তাই বেগম জিয়ার দেশ ত্যাগের পূর্বেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে সর্বশক্তি নিয়োগ করলেন। তখন সরকার দেখলো, খালেদা জিয়া কোনো সমস্যা না, মূল সমস্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা যদি একবার দেশে ফিরেই আসেন, তাহলে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে লাভ কি? তাই এবার সর্বশেষ অস্ত্র প্রয়োগ করা হলো। ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রেসনোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিন বারের জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি’ ঘোষণা করে তাঁর দেশে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শেখ হাসিনা ভয় পেলেন না, প্রতিবাদ জানালেন। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

২২ এপ্রিল সিএমএম আদালত 'পল্টন সহিংসতা' মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শেখ হাসিনা ও মোহাম্মদ নাসিমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। শেখ হাসিনা এসবের কিছুই পরোয়া করলেন না। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে ঢাকা ফেরার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন থেকে ১৯ এপ্রিল লন্ডন গেলেন, দেশে ফেরার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলেন ২৩ এপ্রিল। তৎকালীন ফখরুদ্দীন সরকারের কুটনীতিতে সকল বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ২২ এপ্রিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠার অনুমতি দেয়নি। তৎকালীন অনির্বাচিত সরকারের দমননীতির মুখে শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার ব্যাকুলতা শুধু দেশের মানুষ নন, বিদেশের মানুষকেও স্পর্শ করে। ২৩ এপ্রিল বিশ্বের ৪১টি দেশের ১৫১টি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় শেখ হাসিনাকে নিয়ে খবর ছাপা হয়। সাহস, দেশপ্রেম এবং মাতৃভূমিতে ফিরে আসার অদম্য আকাঙ্ক্ষার জন্য শেখ হাসিনা রাতারাতি বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হন।

শেষ পর্যন্ত অনির্বাচিত 'উদ্দীনদের সরকার' পিছু হটলো। দেশে-বিদেশের সমালোচনার মুখে ২৫ এপ্রিল ২০০৭ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ওই বৈঠকের পর আরও বলা হয়, বেগম জিয়াকে বিদেশে প্রেরণের ব্যাপারেও সরকার কোনো চাপ দেয়নি বা এখনও দিচ্ছে না। শেখ হাসিনা রক্ষা করলেন খালেদা জিয়াকেও। এক শেখ হাসিনার সাহসের কাছে সকল ষড়যন্ত্র মাঠে মারা যায়। ৩ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা, খুনের মামলায় চার্জশিট, গ্রেফতারি পরোয়ানা, সর্বশেষ ‘রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি’ ঘোষণা করেও শেখ হাসিনাকে বিদেশে আটকে রাখতে পারে নাই তৎকালীন সরকার।

৭ মে ২০০৭; ঘরোয়া রাজনীতির নিষেধ থাকায় সেদিন গুটিকয়েক দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে এয়ারপোর্টে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাতে যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের আবেগের কাছে সকল নিষেধাজ্ঞা পরাস্ত হয়, মুহুর্তেই এয়ারপোর্টে এলাকা রূপান্তরিত হয় জনসমুদ্রে। সামনে পেছনে হাজারো মানুষের মিছিল, মোটরসাইকেল আর গাড়ির বহরে ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনে পৌঁছান জননেত্রী, সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সুধাসদনে যান। এয়ারপোর্টে থেকে রাসেল স্কয়ার, সাধারণ মানুষের ভীড়ে এই সামান্য পথ পাড়ি দিতে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ৩ ঘন্টা সময় নিতে হয়েছে।

এর ৫ দিন পর ১২ মে একটি তারবার্তা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়। তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার আগে গুঞ্জন ছিল, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হুমকির মুখে বিদেশে নির্বাসনে গেছেন। ফেরার পর এ গুঞ্জনের অবসান হয়। একইসঙ্গে তার দেশে ফেরার ঘটনায় তাকে দল থেকে পদচ্যুত বা ক্ষমতাচ্যুত করা বা বিভিন্ন নেতার দল ছেড়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে যায়। গোপন তারবার্তায় এও বলা হয়, দেশের ফেরার দিন আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান। সেখানে এমন ৩ জন নেতাও ছিলেন, যারা ৪ সপ্তাহ আগেও তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

এরপরের ইতিহাসও সবার জানা। 'উদ্দীনময়' তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে কারান্তরীণ রাখা হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান এবং চিকিৎসা শেষে ৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। অতঃপর আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা তৎকালীন অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দেশের ইতিহাসে অন্যতম নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে খ্যাত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট। শুরু হয় অবিশ্বাস্য গতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার পথচলা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নত দেশের স্বপ্ন খুব বেশি দূরে নয়। এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়...!

লেখক : কলামিস্ট ও ছাত্রনেতা।

এইচআর/জেআইএম