আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ: আইএইচএমই

বিশ্বজুড়ে গত দেড় বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬৯ লাখ মানুষ মারা গেছেন, যা দেশগুলোর সরকারি হিসাবের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড এভাল্যুয়েশন (আইএইচএমই)-এর বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

আইএইচএমই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ দেশ শুধু হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীদের গণনা করায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন থেকে যাচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার তুলনামূলক হিসাব তুলে ধরা একটি স্বাধীন স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইএইচএমই। অতীতে হোয়াইট হাউসও সংস্থাটির দেয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়েছে। এর প্রতিবেদনগুলো জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।

আইএইচএমই’র মতে, কোনো দেশে করোনায় মৃত্যুর হারের সঙ্গে সেখানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

Advertisement

সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনি যদি পরীক্ষা খুব বেশি না করেন, তাহলে করোনায় অনেক মৃত্যু এড়িয়ে যাবেন।

মহামারিপূর্ব সময়ে সব ধরনের কারণে মৃত্যুর প্রবণতার সঙ্গে মহামারির সময়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যার তুলনামূলক হিসাব করে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাব্য প্রকৃত সংখ্যা বের করেছে আইএইচএমই।

তাদের হিসাব বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় অন্তত ৯ লাখ ৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। অথচ দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) হিসাবে বলা হচ্ছে, সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯১ জন।

আইএইচএমই’র এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি সিডিসি।

Advertisement

অবশ্য ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড এভাল্যুয়েশনের এই বিশ্লেষণে শুধু সরাসরি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হিসাব করা হয়েছে। মহামারির কারণে সৃষ্ট চিকিৎসা সংকটে যেসব মৃত্যু হয়েছে, তা গোনায় ধরা হয়নি।

মুরে বলেন, অনেক দেশ মহামারিতে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা নির্ণয়ে অসাধারণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তবে আমাদের বিশ্লেষণ দেখিয়ে দিয়েছে, একটি নতুন এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা কতটা কঠিন।

কেএএ/এমএস