জাতীয়

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, চলছে আন্তঃজেলা বাস

স্বাস্থ্যবিধিসহ যথাযথ নিয়ম মেনে গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। বিধিনিষেধের পর বাস চলাচলের দ্বিতীয় দিনেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না পরিবহন চালকরা। এছাড়া চালক ও তার সহকারীদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা দেখা যায়নি।

Advertisement

অন্যদিকে আন্তঃজেলা বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর রুটে বাস চলাচল করছে। বিশেষ করে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে সরকার। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভোর থেকে অর্ধেক যাত্রী এবং বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। তবে আন্তঃজেলা বাস বন্ধই রাখা হয়।

Advertisement

আগামী ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, তাতে বলা হয়, শুধুমাত্র জেলার মধ্যে গাড়ি চলতে পারবে। আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।

শুক্রবার সকালে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশ এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং নরসিংদীগামী বাস চলতে দেখা গেছে। এরমধ্যে কোনো কোনো পরিবহন প্রতিটি আসনে যাত্রী পরিবহন করছে। যাত্রী-চালকদের মুখে মাস্ক থাকলেও বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে একটি বাসের চালক আরিফ হোসেন বলেন, ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। নিষেধ করলেও যাত্রীরা বাসে উঠেছেন। এছাড়াও অনেক যাত্রী নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিতে চান না। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হয়।

গুলিস্তান এলাকায় গাদাগাদি করে বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রী তোলা হলেও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কোনো সদস্যকে তৎপর দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর মহাখালী হয়ে গাজীপুর রুটে চলাচল করা বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

Advertisement

মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে স্কাইলাইন পরিবহনের চালক মাসুম আন্তঃজেলা বাস চলাচলের বিষয়ে জানান, ঢাকা মহানগর এবং গাজীপুর মহানগরে যান চলাচলে কেউ তাদের বাধা দেয়নি। মালিকপক্ষের নির্দেশে তারা যাত্রী পরিবহন করছেন।

এমএমএ/এমএইচআর/এমএস