ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসা ১০ জন রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (৭ মে) ভোর রাত ৩টার দিকে তাদের হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, চিকিৎসা শেষে গত ৪ মে ভারত থেকে বেশ কয়েকজন রোগী বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এদের সবাইকে সরকার যার যার জেলা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশনা দেন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের ১০ জন চমেক হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন পালন করতে আসেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এদের মধ্যে সাতজনকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিনে ভর্তি করা হয়। বাকি তিনজন অসুস্থ হওয়ায় তাদের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ হয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীরা হলেন- চন্দানাইশ উপজেলার বাসিন্দা ইলিয়াছের ছেলে জাকারিয়া (৩৪), ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা ইউসুফের মেয়ে রহিমা বেগম (৪৬) ও কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল আহমেদের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪১)।
একই সময়ে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন- পটিয়ার বাসিন্দা ফজল করিমের ছেলে রেজাউল করিম রাজু (২৪), চন্দনাইশের বাসিন্দা ইউসুফের মেয়ে হাসমত আরা বেগম (৫২), একই উপজেলার বাসিন্দা ফজল কাদেরের মেয়ে আয়শা সুলতানা (২৪), ফটিকছড়ির বাসিন্দা ইউসুফের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৪), একই উপজেলার বাসিন্দা জহুরের ছেলে রমজান আলী (২১), কর্ণফুলী থানার বাসিন্দা মৃত রশিদ আলীর ছেলে আনিছুর রহমান ও একই উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল আহমেদের মেয়ে ফাহমিদা ইয়াসমিন (১৯)।
এদিকে ভারতফেরত এসব রোগী ভর্তি হওয়ায় পুরো হাসপাতাল এলাকায় একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) উপাচার্যের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক চট্টগ্রামের করোনাভাইরাসের ধরন নিয়ে পরীক্ষা করেন। এসব পরীক্ষায় যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের করোনাভাইরাসের ধরন মিলছে। কিন্তু ভারতীয় কোনো ধরন নমুনা পরীক্ষায় পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসী একটু স্বস্তিও পেয়েছিল। তবে এবার ভারতীয় ধরন ছড়ানোর ভয় চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে কাজ করছে।
Advertisement
সিভাসু উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে পাওয়া তিন দেশের চেয়ে ভারতীয় করোনার ধরন কয়েকগুণ শক্তিশালী। তাই আমাদের ভারতীয় ধরন প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
মিজানুর রহমান/বিএ/এমএস