জাতীয়

সরকারি হাসপাতালের ১৬ হাজার বেড সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায়

দেশে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের সংকট নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ২১০ থেকে ২১৫ টন অক্সিজেন উৎপাদন করে। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে ১৭৫ টন এবং সরকারিভাবে আরও ৩০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। তবে সারাদেশে ৫০ থেকে ৬০ টন অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে।

Advertisement

সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের ১৬ হাজার বেড সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) ‘কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকটে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মুমূর্ষু রোগীদের প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন অক্সিজেনের চাহিদা আছে। কোভিডকালে তা ৭০-৮০ টনে পৌঁছায় আর কোভিড যখন পিকে উঠে তখন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ২১০ টন।

Advertisement

তিনি বলেন, অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই একটি কোম্পানি ৪০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে। আর জুলাইয়ের মধ্যে আরও একটি কোম্পানি ২৫ থেকে ৩০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করবে। সেই হিসাবে চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই ২৬০ থেকে ২৭০ টন অক্সিজেন আমরা উৎপাদন করতে পারব।

সরকারিভাবে ৯০০ টন এবং বেসরকারিভাবে আরও ৪০০ টন অক্সিজেন মজুদ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা অক্সিজেন জেনারেটর আমদানির ব্যবস্থা করছি। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করবো, যাতে করোনা সংক্রমণ না বাড়ে। করোনা না বাড়লে বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে না।

এ সময় প্রাইভেট হাসপাতালের প্রতিনিধিরা অক্সিজেন আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ, চিকিৎসকদের সম্মাননা ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান।

এসএম/এআরএ/এএসএম

Advertisement