মুসলিমদের পবিত্র দু’টি ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহা। এই দুটি উৎসব এলেই চঞ্চল হয়ে ওঠেন খুলনার বড় বাজারের মসলাপট্টির ব্যবসায়ীরা। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই চাঞ্চল্য হারিয়ে গেছে তাদের মধ্যে থেকে। মহামারি করোনার কারণে তাদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। মাহে রমজানের শুরু থেকেই চলছে লকডাউন। ফলে এবারও তাদের লাভের মুখ দেখার আশা খুবই কম।
Advertisement
খুলনার বড় বাজারের মসলাপট্টিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় মসলা বিক্রেতারা খুবই ধুমধামের সাথে ব্যবসা করেন। তবে এবার তা আর হচ্ছে না। কোনোরকম বেচা-কেনা করে বেঁচে আছেন বলে জানালেন তারা। এই বাজারের মসলা বিক্রেতা আরমান ট্রেডার্সের মালিক মহিউদ্দিন জানান, আমাদের কোনো বেচাকেনা নেই, ক্রেতারা বাজারে আসে আর যায়। কিন্তু আমাদের কাছে আসে না, আর এলেও দুইশ টাকার মাল দাম কমিয়ে ১৮০ টাকা বলে। তাই খুবই কষ্টে আছি। চয়ন স্টোর, ফাতেমা স্টোর ও মেসার্স উত্তম স্টোরের মালিকরা বলেন, এবার আমাদের কোনো পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। কিন্তু প্রতিমাসের দোকান ভাড়া, মাসিক চাঁদা, দারোয়ানের বিল সবই আমাদের দিতে হয়।
তবে এবার মসলার দাম বাড়েনি দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার আমাদের কোনো মসলার দাম বাড়েওনি কমেওনি।
ক্রেতা রহিম শেখ বরেন, আমার গল্লামারীতে মুদিখানা দোকান আছে। প্রতিবছর এই মসলাপট্টিতে মসলা কিনতে আসি, কিন্তু এরকম কম বেচাকেনার দৃশ্য এই প্রথম দেখতে পেলাম। আমাদের মুদিখানা দোকানের অবস্থাও একই রকম।
Advertisement
তিনি বলেন, আগে যেমন সব শ্রেণির মানুষ গরু, মুরগি, মাছ ইত্যাদি রান্নার জন্য মসলা কিনতে দোকানে ভিড় জমাত সেখানে এখন হাতেগোনা কিছু সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কেউ মসলা চাচ্ছে না।
মসলা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের পরিবার নিয়ে খুবই অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছি। আমরা আমাদের কর্মচারীদের বেতন কিভাবে দেব তাই ভাবছি। মুদিখানার দোকানিরা আমাদের কাছ থেকে বাকি নেয়। তারাও বিপাকে পড়েছে। বাকি টাকা দিতে পারছে না তারা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব সমস্যায় রয়েছি।
আলমগীর হান্নান/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement