চারদিন পেরিয়ে গেলেও সেবা অধিদফতরের ৮৮টি নার্সিং প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। এদিকে ফলাফলের প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থী নিবার্চনে অনিয়ম ও নয়ছয় হবে এমন আশঙ্কা করছেন ভর্তিচ্ছুরা। জিপিএ’র নম্বরের বদলে নতুন নিয়মে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করার লক্ষ্যে শুক্রবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবা অধিদফতরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের সার্বিক দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা গেছে, ৭টি বিএসসি ইন নার্সিং কলেজে ৭শ’টি, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ২ হাজার ৫৮০টি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ৯৫০টি আসনে ২০ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ওএমআর মেশিনে ভর্তি পরীক্ষার খাতা দেখা হয়। কিন্তু প্রথমবারের মতো এত বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানে ৩টি ক্যাটাগরিতে মেধা, জেলা, সংরক্ষিত কোটার ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ফলাফল প্রস্তুুতকারী সফটওয়্যার কোম্পানি। সেবা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নিলুফার ফারহাদের কাছে সোমবার বিকেলে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, যাদের কাছে পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুুতের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তারা এখনও ফলাফল তৈরি করে কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়নি। তারা ফলাফল তৈরি করে দেয়ার পর ভর্তি কমিটি সভা করে ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানান তিনি।ভর্তি কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ জানান, ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। যে কোনো ধরনের বির্তক এড়াতে বিভিন্ন কোটা সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে কি না তা পুনঃপরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় বিএসএসসি ইন নার্সিং কোর্সে ৪ হাজার ৯১৬ জন, ডিপ্লোমা ইননার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ১৫ হাজার ৮০৭ জন ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ৩ হাজার ৭৩৭ জন আবেদনকারী থাকলেও পরীক্ষার হলে শতকরা ৩০ভাগ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।এমইউ/এসকেডি/পিআর
Advertisement