শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করার সাথে সাথেই শুষ্ক ত্বক আরও শুষ্ক হতে শুরু করে। আবহাওয়াতে যেহেতু স্বাভাবিক আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে সেহেতু ত্বকের ময়েশ্চার ক্রমাগত কমতে থাকে, দিনে দিনে ত্বক রুক্ষ ও মলিন বয়ে পড়ে। যাদের ত্বক সারাবছর শুষ্ক থাকে তাদের শীত শুরু হওয়ার বেশ আগ থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিৎ। আর সেই জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন-১. শীতে ঠাণ্ডা পানি ব্যববার করার পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যববার করুন। বার বার হাত মুখ না ধুয়ে দিনে দু`বার হাত মুখ ধোয়ার সময় পানি ব্যববার করুন। মুখ মোছার সময় খুব বেশি ঘষা যাবেনা। হালকা করে চেপে চেপে পানি মুছে নিতে হবে।২. যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য ময়েশ্চারাইজিং অপরিবার্য। সকালে গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে ভারি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। বেশীরভাগ সময় আমরা মুখ ও গলায় লাগানোর পর হাত-পা বা শরীরের অন্যান্য অংশে ময়েশ্চারাইজার লাগাই না। এর ফলে দেখা দেয় শুষ্ক কনুই বা ফাটা গোড়ালির সমস্যা। ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমান পানি মিশিয়ে পায়ের গোড়ালি ও হাতের কনুইতে মাখুন।৩. রাতে শুতে যাওয়ার আগে দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু, দই, ডিম, গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর আলতো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাবে ২ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা কমে যাবে। সপ্তাহে অন্তত দু`বার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবার ব্যববার করুন।৪. যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীতকালে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে পুরো শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন। গোসলের পর এটি করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এতে ত্বক ভাল থাকবে, আর শরীরের ক্লান্তি দূর করে ত্বকে ফিরিয়ে আনবে নতুন জেল্লা।৫. ঠোঁট নরম ও কোমল রাখতে কমলার রস মেখে কিছুক্ষণ রাখতে পারেন কিংবা দুধের সর দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। ঠোঁটকে ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে ভ্যাসলিন ব্যববার করতে পারেন। তবে চ্যাপস্কিক ও লিপ গ্লস বেশি উপকারী। এছাড়া অলিভ অয়েলের সাথে খানিকটা মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করলে ঠোঁট ফাটা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।৬. সারাদিনে দেড় থেকে দুই লিটার পানি খেতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য পানি খাওয়া খুব প্রয়োজন। শীতে প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভালো। শীতের শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সুরক্ষা করে। সূত্র: উর্বশী
Advertisement