ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
Advertisement
শবিবার (১ মে) রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জসিম উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইছহাকের ছেলে এবং তিনি পেশায় একজন মাংস বিক্রেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে বিতরণ করা ত্রাণের তালিকায় নিজের নাম না থাকায় খলিলুর রহমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের নামে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি ইউপি সদস্য ইছহাকের কানে গেলে তিনি খলিলকে ডেকে বকাঝকা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খলিল ওই ইউপি সদস্যের ছেলে জসিমকে শনিবার (১ মে) দিবাগত রাতে কয়েকজনের সহযোগিতায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে জসিমকে উদ্ধার করে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তিনি মারা যান।
Advertisement
জসিমের বাবা ইউপি সদস্য মো. ইছহাক বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী দুস্থদের মাঝে বিতরণ করেছি। মাদকাসক্ত খলিল ত্রাণ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তবে স্থানীয় আরেকটি সূত্রের দাবি, নিহত জসিম ও অভিযুক্ত খলিল দু’জনেই পেশায় মাংস বিক্রেতা। তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে ঝামেলা তৈরি হলে পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিতেই জসিমকে হত্যা করে খলিল।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু জাগো নিউজকে বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড কি-না সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে জসিম এবং খলিলের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এরপরও সার্বিক বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। ইতোমধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
মিজানুর রহমান/এএএইচ/এএসএম
Advertisement