বিনোদন

ব্যাচ ২০০৩ : চেনা গণ্ডির সীমানা পেরিয়ে অনন্য সজল

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার অনেক বিজ্ঞাপন পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা৷ অনেক নাটকই দর্শকের মনে দাগ কেটেছে৷ বলা চলে প্রায় দুই যুগ ধরে রোমান্টিক হিরোর আমেজ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অভিনেতা সজল।

Advertisement

তবে সিনেমায় তিনি অনিয়মিত বরাবরই। সম্প্রতি সেখানেই মনোনিবেশ করেছেন৷ কাজ করেছেন 'জ্বিন' নামের একটি সিনেমা। এটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়৷ আরও কথা চলছে বড় পর্দায় কাজের৷

তার ভিড়ে অনলাইন প্লাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে সজল অভিনীত ওয়েব ফিল্ম 'ব্যাচ ২০০৩'৷ মুক্তির পর থেকেই এটি বেশ সাড়া ফেলেছে৷

ছবিটির গল্প, সংলাপ ও নির্মাণের মুন্সিয়ানায় খুব সহজেই মুগ্ধতা ছড়ায়। তবে আলাদা করে ভাবায় অভিনেতা সজলের অভিনয়। নিজের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন তিনি এ সিনেমায়।

Advertisement

পার্থ সরকারের পরিচালনায় থ্রিলার গল্পের এই সিনেমায় সজলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তাসনুভা তিশা, নওশাবা, শিপন প্রমুখ।

এখন পর্যন্ত দেশে অনেক থ্রিলার গল্পেই সিনেমা নির্মিত হয়েছে। সেদিক থেকে ‘ব্যাচ ২০০৩’ যেন এক অন্যরকম বার্তা নিয়ে এসেছে দর্শকদের জন্য।

স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শব্দ বেশ প্রচলিত রয়েছে, সেটা হলো ‘র‍্যাগিং/বুলিং’। র‍্যাগিংয়ের কারণে বিভিন্ন সময়েই অনেক ছাত্র-ছাত্রী কিংবা বন্ধুকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। কোন কোনো সময় সেটির মাত্রা অনেক বেশি-ই ছাড়িয়ে গিয়েছে যা অনেকের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক এরকমই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ব্যাচ ২০০৩’ সিনেমা। গল্পের পরতে পরতে রয়েছে সাসপেন্স। আগে থেকে বোঝার উপায় নেই কী হতে যাচ্ছে।

রোমান্টিক নায়কের আমেজ ভেঙে এখানে মন্দ চরিত্রে দেখা দিলেন অভিনেতা সজল। রোমান্টিক ইমেজের বাইরেও যে তিনি অনবদ্য এই ছবিতে তিনি যেন সেটাই প্রমাণ করলেন। এখানে তার অভিনয় প্রশংসা পাচ্ছে৷

Advertisement

'ব্যাচ ২০০৩'- এ সজল ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রগুলোর অভিনয়ও ছিলো সাবলীল। এক্ষেত্রে বাহবা দিতেই হয় নির্মাতা পার্থ সরকারকে৷ চরিত্র অনুযায়ী শিল্পী বাছাই করে মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন তিনি৷ আর তাদের দিয়ে সেরা অভিনয়টা বের করে নিয়ে নিজের নির্মাণশৈলীকে প্রতিষ্ঠা করলেন৷

রাফায়েল হসানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমাটি এরমধ্যেই দর্শকদের প্রিয় তালিকায় উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বত্রই ছবিটির প্রশংসা দেখা যাচ্ছে।

এ সাইকো থ্রিলারটি বিঞ্জে উন্মুক্ত হয়েছে গেল ৮ এপ্রিল। প্রশংসার স্রোতে ভাসা সজল এখানে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'ব্যতিক্রম কাজ সবসময়ই দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। 'ব্যাচ ২০০৩' আবার তার প্রমাণ দিলো। তাছাড়া কষ্টের ফলটা মিষ্টিই হয়৷ অনেক পরিশ্রম করেছি নিজের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে৷ এমন চরিত্রে কাজ করিনি আগে৷ তাই চেষ্টা ছিলো বৈচিত্র্যময় এ কাজটিকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের৷ হয়তো কিছুটা হলেও তা পেরেছি। এত এত প্রশংসা তার প্রমাণ।'

তিনি এ সিনেমার টিমকে এগিয়ে রাখলেন সাফল্যের মূলমন্ত্র হিসেবে৷ সজলের ভাষ্যে, একটি চমৎকার গল্প ছিলো এখানে৷ চমৎকার কিছু চরিত্র৷ আর অবশ্যই দক্ষ ও ক্যারিশমাটিক নির্মাতা পার্থ সরকার৷ অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন তিনি৷ সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিয়েছেন৷ শিল্পীরা প্রত্যকে তার তার জায়গায় বেস্ট এফোর্ট দিয়েছেন৷ একটা গুড টিম কম্বিনেশনই 'ব্যাচ ২০০৩'- কে সবার মনে জায়গা করে দিলো৷

এলএ/এমকেএইচ