ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশটিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনভাবেই যেন দেশটিতে করোনার লাগাম টানা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই দেশটিতে সংক্রমণ ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছে ৩ হাজার ৪৪৯ জন।
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ২ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে শয্যার অভাব, অক্সিজেন-ওষুধের সঙ্কটে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখের বেশি।
Advertisement
করোনা সংক্রমণে ভারতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি। মোট সংক্রমণের বেশিরভাগই এসব রাজ্যেই।
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৬২১। তবে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৫৯ হাজার ৫শ জন। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬২৪। গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন।
রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪৩ এবং মারা গেছে ৪৪৮ জন। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। তবে রাজধানীতে গত ১৫ এপ্রিলের পর প্রথমবার আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা গেছে।
অপরদিকে, কেরালায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। বিধি-নিষেধের আওতায় শুধুমাত্র জরুরি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ওই রাজ্যে বিভিন্ন অফিসে মাত্র ২৫ জনের উপস্থিতি রাখা যাবে। এর বেশি মানুষের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছে ৪৫ জন। ইতোমধ্যেই ওই রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৯ হাজার ৫১৯ জন।
আগামী ৬ মে থেকে তামিলনাড়ুতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ৯৫২ জন। অপরদিকে মারা গেছে ১২২ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১৭ লাখ ৮ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১৫ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।
টিটিএন/জিকেএস