আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে টানা ৬ দিন শনাক্ত ১৭ হাজারের বেশি

করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট ১১ হাজার ৬৩৭ জনের মৃত্যু হলো।

Advertisement

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ফের সাড়ে ১৭ হাজার পেরিয়েছে। এ নিয়ে টানা ছয়দিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি হলো। এর মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।

এদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকলেও গত একদিনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মাত্র ১ হাজার ৬১৫ জনের টিকাকরণ হয়েছে। যা দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যায় এখনো পর্যন্ত সর্বনিম্ন।

সোমবার (৩ মে) রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানা গেছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

Advertisement

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গে সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে কেবল কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে যথাক্রমে ৩ হাজার ৯৯০ ও ৩ হাজার ৯৬৫ জনের মধ্যে।

এছাড়া হাওড়া (৯৯০), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৬২), পশ্চিম বর্ধমান (৯৬৪), বীরভূম (৮৩৩), হুগলী (৮০৪), নদিয়া (৮৯৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৫৬) এবং মালদহ (৫২২) জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৪ জন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে মোট ৯৮ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২৩, কলকাতায় ২১ এবং হাওড়ায় সাতজন মারা গেছেন। অন্যদিকে, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ছয়জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে চারজন করে মারা গেছেন। মালদহ, নদিয়া এবং হাওড়ায় তিনজন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিঙে দুজন করে মারা গেছেন। একই সঙ্গে, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৬৩৭ জনে দাঁড়াল।

Advertisement

এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩১ শতাংশে বা তার আশপাশে ওঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি। ওই সময়ের মধ্যে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৫ শতাংশে।

এমআরআর/জিকেএস