দেশজুড়ে

যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় থানা যুবলীগের সভাপতি জালাল হত্যা মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।সোমবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া এ রায় দেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাপাসিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, যুবদলের থানা সদস্য জজ মিয়া, থানা ছাত্রদলের সদস্য আল-আমিন, বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন বেল্টু, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হালিম ফকির, কাপাসিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল, থানা যুবদলের সদস্য মাহবুবুর রহমান রিপন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আ. আলীম, বিএনপি নেতা আতাউর, ফরহাদ ও জয়নাল।২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর বলখেলা বাজারের উত্তর পার্শ্বে থানা যুবলীগ সভাপতি জালাল সরকারকে হত্যার ১২ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো।আদালতের পিপি অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমেদ জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই উদ্দেশ্যে আসামিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যুবলীগ নেতা জালাল সরকারকে হত্যা করে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৯/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় ১১ জনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।রায় ঘোষণার পর আসামি ফারুক হোসেন, বেলায়েত হোসেন বেল্টু, আ. আলীম, আতাউর, ফরহাদ ও জয়নাল কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন।রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিহত জালালের মা হালিমা খাতুন জালালের একমাত্র কন্যা হৃদি, জালালের ভাই মামলার বাদী মিলন সরকার, বাবা আমজাত হোসেন, ভাই বাদল সরকার ও আত্মীয় স্বজন। মৃত্যুকালে জালালের স্ত্রী ছয় মাস বয়সী একমাত্র কন্যা সন্তান শাহরিয়ার জালাল হৃদি এখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত জালাল সরকারের বাবা আমজাত হোসেন, ভাই মিলন সরকার ও আত্মীয়-স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। জালালের মৃত্যুকালে রেখে যাওয়া দেড় বছরের একমাত্র মেয়ে শাহরিয়ার জালাল হৃদি বাবার কথা মনে করতে পারছে না। তবে পিতার হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ সাজা পাওয়ায় সে খুঁশি।আসামিপক্ষের আইনজীবী ড. শহীদউজ্জামান জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট তারিখে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা (আসামিরা) কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের বলখেলা বাজারের পাশে জালালকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এর একদিন পর জালালের ভাই মিলন সরকার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানা পুলিশের (ওসি) এ কে এম আব্দুল লতিফ ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর এ মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।আমিনুল ইসলাম/এসএস/এআরএ/পিআর

Advertisement