বিনোদন

৬২ পেরিয়ে সুবীর নন্দী

প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি মুগ্ধ করে রেখেছেন বাংলা গানের শ্রোতাদের। তার কণ্ঠ ছুঁয়ে নেমেছে অসংখ্য কালজয়ী শ্রোতাপ্রিয় গান। তিনি দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। আজ সোমবার, ৩০ নভেম্বর তার জন্মদিন। এবারে শিল্পী ৬৩ বছরে পা রাখলেন।শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এবারের জন্মদিনটি তিনি কাটাবেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। সেখানে তার মেয়ে মৌয়ের বাসাতেই সিক্ত হবেন শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায়। অবশ্য ২৯ নভেম্বরের রাত পেরিয়ে ৩০ নভেম্বর শুরু হতেই ফেসবুক-টুইটারসহ নানা মাধ্যমে সুবীর নন্দীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।সুবীর নন্দী এক সম্ভ্রান্ত সঙ্গীত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা তেলিয়াপাড়া চা এস্টেটের চিকিৎসক ছিলেন। সেখানে তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্য নয় ভাইবোনের সঙ্গে ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিতেন। তবে সংগীতে তার হাতেখড়ি ঘটে মায়ের কাছেই। তাঁর মা-ও খুবই চমৎকার গান করতেন কিন্তু পেশাদারী সংগীতে আসেননি। তবে নিজের অজান্তে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী পঙ্কজ মল্লিক, সায়গল, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, জাগজিৎ সিং প্রমুখের অনুরক্ত ভক্তে পরিণত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিল্পী হবার। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো ১৯৭০ সালে। ওই বছর সুবীর নন্দীর রেকর্ডকৃত প্রথম গান মোহাম্মদ মুজাক্কেরের কথায় এবং ওস্তাদ মীর কাসেম সুরারোপিত ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’ প্রকাশ পায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি গান করেছেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। গেয়েছেন বেতারেও অসংখ্য জনপ্রিয় গান। আর ২৪টির মতো একক অ্যালবামও প্রকাশ পেয়েছে তার। গান গাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু গানের সুরও করেছেন। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‌‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি,’ ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘পাখিরে তুই দূরে থাকলে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে’, ‘এক যে ছিল সোনার কন্যা’, ‘আশা ছিলো মনে মনে’, ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল’ অন্যতম। সুবীর নন্দী মহানায়ক ছবিতে ১৯৮৪, শুভদা ছবিতে ১৯৮৬, শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিতে ১৯৯৯ এবং সর্বশেষ মেঘের পরে মেঘ ছবিতে গান করে ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় বেশ কিছু স্বীকৃতিসহ ভূষিত হয়েছেন জাপানের ‘প্রবাস প্রজন্ম সম্মাননা’য়।ব্যক্তি জীবনে নন্দিত এই শিল্পী দুই সন্তানের জনক। বড় মেয়ের নাম মৌ এবং ছোট ছেলের নাম হৃদ্যিমান। গানে আর সুরের মুগ্ধতা ছড়িয়ে আরো অনেকদিন বেঁচে থাকুন মোহনীয় কণ্ঠের এই জাদুকর। জন্মদিনে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে রইল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।এলএ

Advertisement