যশোরে লকডাউনে অস্থায়ী বাজারের নামে শুরু হয়েছে পণ্যমেলা। তবে কৌশল হিসেবে একে বলা হচ্ছে অস্থায়ী বাজার।
Advertisement
শহরের গাড়িখানা সড়কে এ অস্থায়ী বাজারের অবস্থান। এ বাজারে শিল্প বাণিজ্য বা পণ্যমেলার পরিবর্তে টাঙানো হয়েছে সংক্রমণ সতর্কতার সাইনবোর্ড।
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই মেলার আয়োজন করে এ সাইনবোর্ড টাঙানোকেও অনেকেই হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকেও এ মেলার কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি বলে জানা যায়।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে কঠোর লকডাউন চললেও অস্থায়ী বাজারের নামে পণ্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১ মে) থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে।
Advertisement
এখানে প্যান্ট, শার্ট, থ্রিপিস, জুতা, অলঙ্কার-প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১৫টি স্টল স্থাপনের কাজ চলছে।
নাগরিক আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক মাস্টার নূর জালাল বলেন, করোনার সময়ে এ ধরনের মেলার আয়োজন কোনোভাবেই ঠিক নয়। দ্রুত এটি বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। যশোরের বড়বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতা ও ছিটকাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির শিপলু জানান, এ মেলা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে অভিযোগ দেন। ব্যবসায়ীদের জানান, মেলা একমাস চলতে পারে। কিন্তু মাসব্যাপী মেলা বছরজুড়েই চলতে থাকে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, বড়বাজারসহ অধিকাংশ মার্কেটেই ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছেন না। ফলে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। এ অস্থায়ী বাজারেও স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে সংক্রমনের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, গাড়িখানা সড়কে অস্থায়ী বাজার বা মেলার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। আর করোনার সময়ে, এ ধরনের মেলার আয়োজন সঠিক নয়। এরপরও কীভাবে এটি হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখা হবে।
Advertisement
মিলন রহমান/এসএমএম/এএসএম