বাপ-দাদা ভিটেমাটি বেঁচে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত দহলা খাগবাড়ি, কোট ভাজিনী ও বেলুয়াডাঙ্গা ছিটমহলের আরও ১০ পরিবারের ২৬ বাসিন্দা স্থায়ীভাবে ভারত যাচ্ছেন। পঞ্চম এবং শেষ দফায় রোববার ৩৪ জনের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্যরা সময় মতো না আসায় তাদের ছাড়াই ২৬ জনকে ভারত পাঠায় জেলা প্রশাসন। নাগরিকত্ব বদল করে স্থায়ীভাবে ভারত যেতে রোববার বিলুপ্ত দহলা খাগবাড়ি, কোট ভাজিনী ও বেলুয়াডাঙ্গা ছিটমহলের ২৬ বাসিন্দা মালামালসহ দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে জড়ো হন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে সোমবার সকালে তারা ভারতযাত্রা শুরু করেন। বিকাল নাগাদ তারা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগবুড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন। বরাবরের মত এবারও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম তাদের বিদায় জানান। এ সময় দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি রমা কান্ত গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ের তিন উপজেলার ৩৬ ছিটমহল থেকে ৪৯১ জন স্থায়ীভাবে যাওয়ার কথা ছিল। গত ২২ নভেম্বর থেকে চার দফায় চার নবজাতকসহ মোট ৪৫২জন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা নাগরিকত্ব বদল করে স্থায়ীভাবে ভারত চলে যান। বাকি ৩৯ জনের মধ্যে পাঁচজন মত পাল্টান। শেষ দফায় সোমবার ৩৪ জনের ভারতে যাওয়া কথা ছিল। এদের মধ্যে আরও আটজন কথা মত ভারত যাওয়ার জন্য সোমবার নির্ধারিত সময় সীমান্তে আসেননি। এজন্য তাদের রেখেই মোট ২৬ জনকে স্থায়ীভাবে ভারত পাঠানো হয়।পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই ভারতগামীদের ভারতে পৌঁছাতে হবে। চার নবজাতকসহ ৪৯১ জনের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিকা অনুযায়ী ভারতগামী ১৩ জনকে পাওয়া যায়নি। বাকিরা শান্তিপূর্ণভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। ভারতে যেতে তালিকাভূক্ত হওয়ার পরও দেশে থেকে যাওয়াদের ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সফিকুল আলম/এসএস/এমএস
Advertisement