বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৫ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান পুরনো আইনটির কিছু পরিবর্তন এনে এ আইন করা হচ্ছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।নতুন এই আইন অনুযায়ী, ১ হাজার ৫০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতু, টানেল, টোল সড়ক, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে সেতু বিভাগ। একইসঙ্গে সেতুর টোল বা ফি সংক্রান্ত বিষয়গুলোও এ বিভাগের ধার্য ও আদায় করবে।খসড়া আইন অনুযায়ী, এসব বিষয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন সেতু বিভাগের সচিব। কর্তৃপক্ষের স্থাপনা ও প্রশাসনসহ কার্যাবলী পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী থাকবেন।শফিউল আলম জানান, কর্তৃপক্ষের তহবিলের লাভজনক অংশ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে বিনিয়োগ করা যাবে। কর্তৃপক্ষের অধিকারে থাকা স্থাপনা নির্ধারিত শর্ত এবং সময় অনুযায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দিতে পারবে।যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সীমানা প্রাচীর, কোনো সংকেত, বিজ্ঞপ্তি ধ্বংস বা অপসারণে যুক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের জারি করা কোনো আদেশ অমান্য করার ক্ষেত্রে অনধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।এসএ/আরএস/পিআর
Advertisement