সমুদ্রের পাড়ে রহস্যময় নীলচে আলো জ্বলজ্বল করছে। এ দৃশ্য কাল্পনিক নয়। বাস্তবেও চাইলে এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এজন্য অবশ্য যেতে হবে মালদ্বীপের গ্লোয়িং বিচে।
Advertisement
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, সত্যিই এই সমুদ্র সৈকতের পাড় রাত হলেই নীল আলোতে জ্বলে ওঠে। খুবই বিস্ময়কর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিবছরই পর্যটকদের সমাগম দেখা যায় সেখানে।
তবে এই আলোর রহস্য কী? আসলে এই উজ্জ্বল নীল আলো এক ধরণের সামুদ্রিক ফাইটোপ্লাঙ্কটনের। ফাইটোপ্লাঙ্কটনের নাম ডিনোফ্লাজেলাটিস। এসব ফাইটোপ্লাঙ্কটনে থাকে লুসিফেরাস নামক রাসায়নিক উপাদান, যা আলো সৃষ্টি করতে পারে।
জোনাকি, জেলিফিসের মতো অনেক জীবেরই আছে আলো তৈরির করার ক্ষমতা। জীবের আলো তৈরি করার এই ক্ষমতাকে বলে বায়োলুমিনেসেন্স। নিজেদের আত্মরক্ষা করার জন্যই ফাইটোপ্লাঙ্কটন আলো বিচ্ছুরণ করে থাকে।
Advertisement
শুধু মালদ্বীপের ভাধু দ্বীপেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু সমুদ্র সৈকতেও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে গ্লোয়িং বিচের পাড় ধরে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে নীল আলো। এই সমুদ্রতীরে অবস্থিত হাজার হাজার ফাইটোপ্ল্যাংকটন উদ্ভিদ আছে।
সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাত পড়লেই আত্মরক্ষায় উদ্ভিগুলো আলোক নিঃসরণ করে। এ কারণে পুরো সমুদ্রের পাড় রাত হলেই রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়। এই ঘটনাটি কেবল ভাধুতেই নয়, মালদ্বীপের অন্যান্য সৈকতেও দেখা যায়।
মালে থেকে ১৯৪ কিলোমিটার দূরে রা অ্যাটোলে এই সৈকতের অবস্থান। ১.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে আর প্রস্থে ০.৪ কিলোমিটার এই দ্বীপে লোকসংখ্যা ৫৫০ জন।
মালদ্বীপের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরে সাঁতার কাটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আবার বিচের পাড় ধরে খালি পায়ে হাঁটার জন্যও লাগবে অনুমতি। এ ছাড়াও, মালদ্বীপে পোষা প্রাণী লাল-পালনের অনুমতি নেই।
Advertisement
জেএমএস/জিকেএস