নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামের তরমুজ চাষি মো. মিস্টু। তিনি এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে তরমুজ চাষের নতুন গল্পের সূচনা করেছেন। এবার তিনি নিজ বাড়ির সামনে ৫০ শতক জমিতে হলুদ-কালো-সবুজ রঙের তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ তরমুজ। রঙের ভিন্নতা থাকলেও স্বাদে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিছু অংশে কালো ও সবুজ রঙের তরমুজও আছে। তবে হলুদ তরমুজের সংখ্যা অনেক বেশি। দেখতেও বেশ সুন্দর। তা দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন কৃষক মিস্টুর খেতে।
তরমুজ চাষি মিস্টু জানান, গত বছর ২০ শতক জমিতে কালো তরমুজ চাষে ভালো ফলন হয়েছে। এবার ৫০ শতক জমিতে কালো, হলুদ ও সবুজ রঙের তরমুজ চাষ হয়েছে। খেতে থাকা তরমুজের মধ্যে এখন পর্যন্ত অর্ধেকের চেয়ে কম তরমুজ বিক্রি হয়েছে।
তাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাওয়া গেছে। এখনো যে পরিমাণ তরমুজ আছে তাতে আরও দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে। তিনি আরও জানান, বাজারে হলুদ তরমুজের চাহিদা যেমন বেশি তেমনি দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। ফলে এই তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হওয়া যায়। যশোর থেকে চারা এনে এই তরমুজের চাষ করা হয়।
Advertisement
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, কৃষক মিস্টুর খেতে তিন ধরনের তরমুজ রয়েছে। এর মধ্যে তৃপ্তি, ব্ল্যাকবেরি ও কনিয়া। তৃপ্তি হলুদ তরমুজের পুষ্টিগুণ বেশি, মিষ্টিও বেশি। এ এলাকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী।
এমএমএফ/এমএস