ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন অভিহিত করে অনতিবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
Advertisement
শনিবার (১ মে) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান গণবিরোধী সরকারের অনৈতিক শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মী, গণমাধ্যমের সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ব্লগারসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন নয়ন এবং সাখাওয়াত হোসেন শাহীনের বিরুদ্ধে উক্ত আইনে লাঙ্গলকোট পৌর মেয়র নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পর বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এখন এই কালো আইনের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের হয়রানি করে নিজেদের অবৈধ শাসনকে টিকিয়ে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন এক অসহনীয় দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে। রাজনীতির নামে আওয়ামী অপরাজনীতির এক ভয়ঙ্কর মহা বিষবাষ্প গোটা দেশটাকে গ্রাস করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ মনে করে- বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির একচ্ছত্র মালিক কেবলমাত্র তারাই। তাই দেশে শাসন ও রাজনীতি করার অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে অন্য কারো নেই। এই ধরনের বোধ ও চিন্তা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন হিংস্রতার শেষ সীমানায়। ফ্যাসিবাদী সরকারের হিংস্র ছোবল দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করছে।’
Advertisement
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ফ্যাসিবাদী অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার সবকিছুকে দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, গ্রাস করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লাঙ্গলকোট থানা বিএনপির নেতা মো. আনোয়ার হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি। পাশাপাশি এই কালো আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
কেএইচ/এআরএ/এমকেএইচ
Advertisement