দেশজুড়ে

কক্সবাজারে সামাজিক বনায়নের প্লট পায়নি উপকারভোগীরা

বন কর্মকর্তাদের দ্বায়িত্ব অবহেলা ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরও কলাতলীতে বরাদ্দকৃত সামাজিক বনায়নের প্লট বুঝে পায়নি ২১১ জন উপকারভোগী। এতে একদিকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সরকারিভাবে সৃজিত গাছ অপরদিকে দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে বনভূমিও। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিট কর্মকর্তার অদৃশ্য সহযোগিতায় বনভূমি ধ্বংস করছে বনদস্যুরা। ফলে সামাজিক বনায়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার ও জনগণ।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে বনের গুরুত্ব চিন্তা করে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ প্রবর্তনের মাধ্যমে জনগণের অংশীদারিত্বে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতায় কক্সবাজার সদর রেঞ্জের কলাতলী বিটে ২০১১-২০১২ সালে প্রায় আড়াই’শ একর বনভূমিতে বনায়ন সৃজন করে বন বিভাগ। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী ২১১ জন উপকারভোগী নির্বাচন করে তাদের কাছে দলিলও হস্তান্তর করা হয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে। কিন্তু বনায়নের দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরও সামাজিক বনায়ন বুঝে পায়নি উপকারভোগীরা।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কলাতলী এলাকায় ২০১১-২০১২ সালে সৃজিত বনায়ন কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আবার অনেকেই গাছ ও পাহাড় কেটে গড়ে তুলছে বসতি। আর এসব বসতিতে বাস করছে রোহিঙ্গারা। এ সময় কথা হয় জাকির হোসেন ও আবুল কালামের সঙ্গে। তারা বলেন, স্থানীয় বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামকে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়ে এসব বসতি নির্মাণ করেছেন তারা।আব্দুল জলিল, ইউসুফ, মান্নানসহ একাধিক উপকারভোগী বলেন, বন বিভাগকে শতাধিকবার বলার পরও দলিল হস্তান্তর করেও বনায়ন বুঝে দিচ্ছেনা। টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কলাতলী বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যস্ততার কারণে বুঝিয়ে দিতে দেরি হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তাপস কুমার দেব বলেন, মৌখিকভাবে একাধিক বার বলার পরও সামাজিক বনায়ন উপকারভোগীদের বুঝিয়ে না দেয়ায় লিখিতভাবে কলাতলী বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। তাপরও যদি না দেয়া হয় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সায়ীদ আলমগীর/এসএস/এমএস

Advertisement