আন্তর্জাতিক

সঙ্কট কাটাতে দেশের বাইরে টিকা উৎপাদন করবে সিরাম

করোনার টিকা সঙ্কট কাটাতে এবার দেশের বাইরে টিকা উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা।

Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, দেশজুড়ে চাহিদা অনুযায়ী টিকার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। টিকার উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। ফলে দেশের বাইরে টিকা উৎপাদনের চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সিরামের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে সিরাম নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা বলেছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে মাসে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন তারা। যদিও পরে তিনি জানান, মে মাসের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বার্ষিক উৎপাদন মাত্রা ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিরাম।

সংক্রমণ ঠেকাতে টিকাদানকে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার থেকে দেশজুড়ে তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাদান শুরু হচ্ছে। তবে কেন্দ্র থেকে ঘোষণার পরেও একাধিক রাজ্য আজ থেকে টিকাদান শুরু করতে পারছে না। কারণ পর্যাপ্ত টিকা এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। এই কারণেই টিকার উৎপাদন বাড়ানো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন মৃত্যুপুরী ভারত। জনবহুল এ দেশটির প্রায় সব রাজ্যে এখন মানুষের করুণ আর্তনাদ-হাহাকার। প্রতিদিনই দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এই প্রথম দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ ছাড়াল। এ দিন করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮৫ জন। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দেশটিতে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

শনিবার (১ মে) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জনের। এরমধ্যে শুধু গেল সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন। আর মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩ জন।

Advertisement

এএএইচ/এমএস