যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালি, স্পেন, ব্রাজিলে লাশের স্তূপ ফেলার পর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন মৃত্যুপুরী ভারত। জনবহুল এ দেশটির প্রায় সব রাজ্যে এখন মানুষের করুণ আর্তনাদ-হাহাকার। প্রতিদিনই দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এই প্রথম দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ ছাড়াল। এ দিন করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫২৩ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮৫ জন। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দেশটিতে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
শনিবার (১ মে) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর এসব তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জনের। এরমধ্যে শুধু গেল সাতদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন। আর মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩ জন।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) একদিনে দেশটিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৩ হাজার ৪৯৮ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ৭৯ হাজারের বেশি শনাক্ত এবং ৩ হাজার ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা গত দুইদিন কিছুটা কমলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
নতুন শনাক্তের হিসাবে দেশটির রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় মহারাষ্ট্র। এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৯১৯ জন। এদিন মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন ৮২৮ জন রোগী। এছাড়া কর্ণাটকে ৪৮ হাজার ২৯৬ জন, কেরালায় ৩৭ হাজার ১৯৯ জন রোগী শনাক্ত হয়।
সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা ছয়টি রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত যথাক্রমে মহারাষ্ট্রে ৪৬ লাখ ২ হাজার ৪৭২ জন, কেরালায় ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ জন, কর্ণাটকে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ১১৮ জন, উত্তরপ্রদেশে ১২ লাখ ৫২ হাজার ৩২৪ জন, তামিলনাড়ুতে ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪ জন এবং দিল্লিতে ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৯১৬ জন।
এএএইচ/এমএস
Advertisement