বাগেরহাটের তিনটি পৌরসভার মধ্যে বাগেরহাট পৌরসভা ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভার জন্য একজন করে মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় নির্বাচন কমিটি। মংলা পৌরসভার ক্ষেত্রে কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘দ্বিধান্বিত‘ হওয়ায় চারজন আবেদনকারীর সবার নাম স্থানীয় নির্বাচক কমিটির সদস্যদের গোপন মতামতসহ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজে স্থানীয় নির্বাচক কমিটির সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বাগেরহাট পৌরসভা থেকে স্থানীয় নির্বাচকদের সর্বসম্মত মনোনয়ন পেয়েছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান। তিনি একাই মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। সাত সদস্যের নির্বাচক কমিটির মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বাকি পাঁচ সদস্য সভায় উপস্থিত থেকে তাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বলে নির্বাচক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়।সভায় উপস্থিত সদস্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ ডা. মোজাম্মেল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইবনে মিজান হিরু।মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ক্ষেত্রে একমাত্র আবেদনকারী ছিলেন মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন তালুকদার। পদাদিকার বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওই এলাকার এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন বিধায় সাত সদস্যের নির্বাচক কমিটির প্রকৃত সদস্য সংখ্যা ছিল ছয়জন।সভা শেষে জানানো হয়, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল হক তালুকদার গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দলীয় মনোনয়নের জন্য তার আবেদন নির্বাচক কমিটি গ্রাহ্য করেনি।মংলা পৌরসভায় আগ্রহী মেয়র প্রার্থী ছিলেন চারজন। এরা হলেন থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাজাহান শিকারী, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি শেখ আব্দুস সালাম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহমান।বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামন টুকু বলেন, মংলার চারজন প্রার্থীর মধ্যে দু`জন আগ্রহী প্রার্থী মো. শাজাহান শিকারী ও শেখ আব্দুর রহমান নিজেরাই নির্বাচক কমিটির সদস্য। তা ছাড়া এলাকায় না থাকায় নির্বাচক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও স্থানীয় এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।ফলে আমরা দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধান্বিত হয়েছি। এ অবস্থায় আমরা (নির্বাচক কমিটির উপস্থিত ছয় সদস্য) সর্বসম্মতভাবে মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে পৃথক ও গোপনীয়তার সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত লিপিবদ্ধ করে তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।শওকত আলী বাবু/বিএ
Advertisement