ক্যাম্পাস

দুই বছরে দ্বিগুণ জাবির ভর্তি আবেদন ফি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফরমের মূল্য এবারও বেড়েছে।

Advertisement

গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ফি দিতে হবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। ৫৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিক আবেদনের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪টি অনুষদের (এ, বি, সি ও ডি) চূড়ান্ত আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০০ টাকা যা গত বছর ৬০০ টাকা ছিল।

এছাড়া অন্যান্য ইনস্টিটিউট ও অনুষদের জন্য ফি ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা যা গতবারের ভর্তি পরীক্ষায় ছিল ৪০০ টাকা।

Advertisement

গতবার নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদন ফর্মের মূল্য প্রতি ইউনিটে ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।

চলতি বছরে প্রতি ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ১৫৫ বা ৭৫৫ টাকা করে ব্যয় করতে হবে। ফলে গত দুই বছরে এই ভর্তি আবেদন ফি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

ফি বাড়ানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান শুক্রবার জাগো নিউজকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে যে কেউ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারতো। তবে করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সীমিত সংখ্যক ভর্তিচ্ছুকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে। যে কারণে বিগত বছরের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক কমবে। তবে আগের মতো শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফরমের মূল্য বৃদ্ধি ও এবং বাছাই করার নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

Advertisement

শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত। এক দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। এক দিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক চাপ, সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপন্ন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ভর্তি ফর্মের মূল্য বৃদ্ধি করে ইউনিট প্রতি ১ হাজার ১০০ এবং ইন্সটিটিউটগুলোর জন্য ৭০০ টাকা ধার্য করেছে। আগের বছরও এই ফি ছিল যথাক্রমে ৬০০ ও ৪০০ টাকা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এবছর করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে প্রকৃত অর্থে শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যয়ন অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে। তার ওপর ভিত্তি করে যদি আবার বাছাই করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে।

ফারুক হোসাইন/আরএইচ/জেআইএম