বেআইনিভাবে রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মহারাষ্ট্রের সংসদ সদস্য সুজয় ভিখে পাটিলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বম্বের হাইকোর্ট এ বিষয়ে শুনানির সময় বিচারক ওই সংসদ সদস্যকে ‘রবিনহুড’ বলেও ভৎর্সনা করেছেন।
Advertisement
বিজেপি নেতা সুজয় ভিখের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের কেন্দ্র আহমদনগরের মানুষদের জন্য রেমডেসিভির মজুত করে রেখেছিলেন। অথচ মহারাষ্ট্রে ওই ইঞ্জেকশনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেখানে একজন সাংসদের এমন আচরণকে একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না আদালত।
তবে শুনানির সময় আদালত মেনে নিয়েছেন, ওই এলাকার গরিব মানুষদের হয়তো এ থেকে উপকার হয়েছে। কিন্তু এভাবে রেমডেসিভির মজুত করা যে অন্যায় ও সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানিয়েছেন আদালত। বিচারক বলেছেন, ‘এটা রবিনহুড হওয়ার সময় নয়, যখন আপনি একজনের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে অন্যকে তা দেবেন।’
বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুনানির সময় আরও জানিয়েছে, ‘কোনো ভুল পথ অবলম্বন করলে তা অবৈধ বলেই গণ্য হয়। রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন সমস্ত রোগীর মধ্যেই সমানভাবে বণ্টন হওয়া উচিত। এভাবে তা মজুত করে রাখা যায় না। আমরা জানতে চাই তাকে কে এই ইঞ্জেকশনগুলো দিয়েছে? তিনি এগুলো কীভাবে পেলেন?’
Advertisement
জানা গেছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে করোনার মৃদু উপসর্গে ব্যবহৃত রেমডেসিভির চাটার্ড বিমানে দিল্লি থেকে আহমদনগরে নিজের কাছে নিয়ে আসেন সুজয়। সব মিলিয়ে ১০ হাজার ইঞ্জেকশন তিনি নিজের কাছে মজুত করেছেন। নিজের গাড়িতে বাক্স ভর্তি ইঞ্জেকশনগুলো তোলার ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সুজয়।
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। কীভাবে একজন সাংসদ এভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জেকশন মজুত করে রাখতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তাকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক। এবার আদালতে অস্বস্তিতে পড়তে হল সুজয়কে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসককেও একহাত নিয়েছেন আদালত। বিচারকরা প্রশ্ন তুলেছেন- একজন জেলা প্রশাসক কী করে এমন ক্ষেত্রে কাউকে ক্লিনচিট দিতে পারেন?
এএএইচ/এএসএম
Advertisement