জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে চট্টগ্রামে অভিযান-জরিমানা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Advertisement

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিনব্যাপী ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২৮ মামলায় মোট পাঁচ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে সচেতনতার জন্য এক হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালি সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন মামলায় ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ মামলায় এক হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একই সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক মামলায় ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ মামলায় এক হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

Advertisement

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দশ মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চার মামলায় এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ, মিজানুর রহমান ও মো. জিল্লুর রহমান নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধি তদারকি করেন।

এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে রাতের বেলা আরও দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ও সোনিয়া হকের নেতৃত্বে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, ‘কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আজও নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি সচেতনতার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।’

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মিজানুর রহমান/এআরএ