রাজধানীর জমজমাট কয়েকটি ইফতার বাজারের মধ্যে বেইলি রোডের বাজার ছিল অন্যতম। সেখানে পুরান ঢাকার ঐহিত্যবাহী ইফতার ছাড়াও বিদেশি অনেক পদের ইফতারসামগ্রী পাওয়া যায়। এবারও সেখানে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের কারণে গত বছরের মতো এবারও জমে ওঠেনি ইফতার বেচাকেনা।
Advertisement
বুধবার ( ২৮ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা গেছ, বেইলি রোডের নবাবী ভোজ, ইফতার বাজার, জ্যাগেররি, পিঠাঘরে নানান রকমের মুখরোচক ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। চিকেন সাসলিক কাবাব বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, চিকেন তন্দুরি কাবাব ১৫০ টাকা, বিফ শিখ কাবাব ১৫০ টাকা, চিকেন টিক্কা বার্বি কিউ ২২০ টাকা, চিকেন হারিয়ালি কাবাব ২৭০, চিকেন আচারি কাবাব ২৬০, মাটন রেজালা প্রতিকেজি এক হাজার ২০০ টাকা, বিফ রেজালা এক হাজার টাকা কেজি।
এছাড়া মোরগ পোলাও প্রতি বাটি ২২০ টাকা, চিকেন রেশমি ২৫০ টাকা, চিকেন কাঠি কাবাব ২০০ টাকা, প্রতিটি চিকেন রোস্ট পিচ ১৫০ টাকা, চিকেন ফুল রোস্ট ৪৫০ টাকা, হাড্ডি ছাড়া বিফ ভুনা প্রতিকেজি এক হাজার ২০০ টাকা, চিকেন ঝাল ফ্রাই এক হাজার টাকা কেজি, চিকেন টিক্কা রোল ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মুড়ি, হালিম, জিলাপি, ছোলা-বুট, রোবহানি, শরবতসহসহ ইফতারের যাবতীয় সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বেইলি রোডে। পাওয়া যাচ্ছে বার্গার ও স্যান্ডউইচের মত ফাস্টফুডও।
ক্রেতারা বলছেন, করোনার মধ্যে বিক্রি কম হলেও বিক্রেতারা বেশি দামে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।
Advertisement
নবাবী ভোজের এক বিক্রেতা জানান, করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও বিক্রি খুবই কম। এখন সবাই শপিং করতে ব্যস্ত। ইফতার কেনার লোক কম আসছেন।
সামছুল হক নামে এক ক্রেতা জানান, বেইলি রোডের ইফতারের দাম বরাবরাই বেশি। এবার ভেবেছিলাম দাম কম পড়বে। কিন্তু করোনার মধ্যেও ইফতারির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
পিঠাঘরের মালিক তবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা সবকিছু আগের দামেই বিক্রি করছি। তবে দুই একটি আইটেমের দাম বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাংসে তৈরি ইফতারির দাম একটু বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
এইচএস/এএএইচ/জিকেএস
Advertisement