খেলাধুলা

‘ভয়াবহ করোনার মধ্যেও কীভাবে এতটাকা খরচ হচ্ছে আইপিএলে?’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত বিশাল দেশ ভারত। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পুরো ভারতে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই, শ্মশানঘাটেও মৃতদেহ সৎকারের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কোটি কোটি রুপি খরচ করে দিব্যি চলছে আইপিএলের খেলা। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুতেও মন গলছে না যেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আইপিএল চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে এরইমধ্যে বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করেছেন ভারতের অধিকাংশ মানুষ। যেখানে অক্সিজেনের অভাব, সেখানে কিভাবে হাজার কোটি টাকা আইপিএলের পেছনে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে?

করোনার ভয়াবহতা আঁচ করে এরই মধ্যে দেশে ফিরে গেছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারও। তবে দেশে ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু টায়ে আইপিএল চালিয়ে নেয়া নিয়ে বিশাল এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। বলছেন, ‘যেখানে করোনা রোগিদের জন্য হাসপাতালে বেড নেই, সেখানে কিভাবে এত টাকা খরচ করে আইপিএল চালানো হচ্ছে?’

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে আতঙ্কে ভারত ছেড়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের অ্যান্ড্রু টায়ে এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কেন রিচার্ডসন ও অ্যাডাম জাম্পা অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন। আবার পরিবার করোনার কবলে পড়ায় টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতেও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে আইপিএল। বিসিসিআই সভাপতির এই সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন টায়ে। তার প্রশ্ন, ‘ভারতে এখন হাসপাতালে বেডের অভাবে ভুগছেন বহু মানুষ। এর মধ্যে কিভাবে কোম্পানি, ফ্র্যাঞ্চাইজি, সরকার আইপিএলের পিছনে এত এত টাকা খরচ করছে?’

অসি এই ক্রিকেটার এরপরই যোগ করেন, ‘বিশ্বের পরিস্থিতি যদি এখন স্বাভাবিক থাকত, তাহলে খেলা নিঃসন্দেহে মানুষের বিনোদনের উপকরণ হয়ে উঠত। যদি আইপিএল মানুষকে আশার আলো দেখাতে পারে, তাহলে অবশ্য টুর্নামেন্ট চলতেই পারে; কিন্তু মনে হয় না, সবাই এই সময় খেলাটা উপভোগ করছেন। যদিও প্রত্যেকের চিন্তা ভাবনা আলাদা।’

ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টায়ে আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ক্রিকেটাররা সুরক্ষিত। কিন্তু কতদিন তা সম্ভব, সত্যিই সে নিয়ে সন্দেহ আছে।’ তবে একদিন আগে আইপিএলের বায়ো-বাবল পরিবেশকে সবচেয়ে নিরাপদ ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই।

আইএইচএস/

Advertisement