জাতীয়

‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, জনসচেতনতার মাধ্যমে তা অব্যাহত রাখতে হবে’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস রাতারাতি দেশ থেকে চলে যাবে না। তবে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশেও করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। জনসচেতনতার মাধ্যমে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

Advertisement

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যার নিবিড়ি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) ১৫০ শয্যার কোভিড-১৯ ইউনিটের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়াও।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৫৯ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। এভাবে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ইউনিট চালু করা হচ্ছে।’

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখন এই করোনা ইউনিটের ১৫০ শয্যার মধ্যে ১১৪টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। বাকি শয্যাগুলো আজ-কালকের মধ্যে তৈরি করা হবে। উদ্বোধনের পরপরই নাগরিকরা এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।’

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই ইউনিট বিশেষ অবদান রাখবে। করোনা রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীরাও বক্ষব্যাধিতে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এছাড়া টিকা কর্মসূচিও আগের মত চালু থাকবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ইউনিটের উদ্বোধনের পর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অ্যাজমা সেন্টারের তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় ফিতা কেটে এই ইউনিট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

এ সময় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘অ্যাজমা সেন্টারের তৃতীয় তলায় ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। চতুর্থ তলায় পৃথক সাতটি বড় কক্ষে ১৪০টি সাধারণ শয্যা। এসব শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে।’

Advertisement

এমএমএ/এএএইচ/জকেএস