ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। সোমবারও দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠদিন সেখানে তিন লাখেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন।
Advertisement
দেশজুড়েই ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভারত। দিন যত যাচ্ছে ততই মহামারির এই বিভৎস রূপ উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। কোনও ভাবেই মিলছে না স্বস্তি। বরং পরিস্থিতি ক্রমশ চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে।
এই অবস্থায় একের পর এক খারাপ খবর প্রকাশ্যে আসছে। মৃত করোনা রোগীদের মরদেহ সৎকার করা নিয়েও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে। এবারের ঘটনাস্থল রাজধানী দিল্লি বা মহারাষ্ট্র নয়। এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে বাইকে চাপিয়েই এক নারীর মরদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গেছেন তার ছেলে ও নাতি।
মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাক্কুলাম জেলায়। জানা গেছে, করোনায় মৃত ওই নারীর নাম মান্দাসা মন্ডল (৫০)। তার শরীরে করোনার লক্ষণ থাকায় কোভিড টেস্টের জন্য তাকে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে করোনার রিপোর্ট হাতে আসার আগেই মারা যান তিনি।
Advertisement
এ বিষয়ে তার ছেলে জানিয়েছেন, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাইরে তার মা মারা গেলে সেখানে তারা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ঘটনার অনেক্ষণ পরও যখন কোনো অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করা যায়নি তখন বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের বাইকে করেই মায়ের মরদেহ গ্রামের শ্মশানে সৎকারের জন্য নিয়ে আসেন।
যেখানে গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার করোনা সংক্রমিত রোগীদের সহায়তায় ১ হাজার ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ১০৪টি মোবাইল মেডিকেল ইউনিট চালু করেছিল। সেখানে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিন্দার ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে।
টিটিএন/জিকেএস
Advertisement