করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনই একমাত্র কার্যকরী উপায় নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটে যাওয়ার উপর জোড় দেন তিনি। বলেন, বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারবেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তিন সপ্তাহ লকডাউন দিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কমেছে। ইউরোপ ও আমেরিকাও একইভাবে সংক্রমণ কমিয়েছে। তবে লকডাউনের নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। এর ফলে অর্থনীতি ও লেখাপড়ার ক্ষতি হয়ে যায়। দারিদ্রতার হার ও সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। কিন্তু তারপরও সংক্রমণ হ্রাস ও জীবন বাঁচাতে সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। আর লকডাউনের কারণেই সংক্রমণের হার ২৪ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ কমে এসেছে। এটি লকডাউনের বড় ফল। কিন্তু লকডাউন তো দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে না।
স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নয় দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ঘন ঘন সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া। ভিড় এড়িয়ে চলা। পাশাপাশি গোটা জাতিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। এটি হলো বড় কার্যকরী পদ্ধতি।
Advertisement
দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে গত তিন সপ্তাহ দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ ছিল। এর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ ও কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ জড়িত। বেশি দিন বন্ধ থাকলে তাদের আয় রোজগারে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে কিছু প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ও গাইড লাইন দিয়ে মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের সময় ক্রেতা যারা মার্কেটে যাবেন তারা মাস্ক পরিধান করে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাবেন। বেঁচে থাকলে অনেক ঈদ করতে পারবেন। ঈদের আনন্দ যেন নিরানন্দে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এমইউ/জেডএইচ/এমকেএইচ
Advertisement