চলমান লকডাউনের মধ্যে ১০ কার্যদিবসে সারাদেশের নিম্ন আদালতগুলোতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৮ হাজার ৬৪৯ আসামি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদনের শুনানি হচ্ছে। এর মধ্যে সোমবারই অধস্তন আদালতে ৩ হাজার ২৩টি আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ায় জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩ জন আসামি।
সব মিলিয়ে ১০ কার্যদিবসে ১৮ হাজার ৬৪৯ জন হাজাতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। একই সময়ে জামিন পেয়েছে ২১১টি শিশুও।
Advertisement
লকডাউনের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে ১১ এপ্রিল রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।
এতে বলা হয়, মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিননামা জমা দিতে হবে। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক অথবা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
এফএইচ/এসএস/জেআইএম
Advertisement