সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ এক শিশু অপহরণের ছয় ঘণ্টার মাথায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সুহিতপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
Advertisement
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকা থেকে ওই শিশু এবং কদমতলি থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের রোকন আহমদ (২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের সহিদপুর এলাকার আওলাদ আলী রেজা তাদের নিজস্ব সাদা রঙের নোহা (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩ ১২১৫) গাড়ির চালককে দিয়ে স্থানীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকে পাঠান। এ সময় আওলাদ রেজার ভাতিজী হালিমা নুসরাত ঊর্মিলাও (৫) চকলেট কিনতে গাড়িচালকের সাথে যায়। চালক গাড়িটি ব্যংকের নিচে রেখে যান। এ সময় গাড়িতে ঊর্মিলা বসা ছিল।
কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি (চালক) ব্যাংকে লেনদেন শেষ হওয়ার পর ব্যাংক থেকে নিচে নেমে দেখতে পান গাড়ি ও শিশু ঊর্মিলা নেই। সাথে সাথে চালক আওলাদ আলী রেজার পরিবারকে জানান।
Advertisement
তারা প্রশাসনকে অবহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিলেটের কদমতলি এলাকার স্থানীয়রা ফল মার্কেটের পাশে গাড়িটি দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুর স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি পেলেও ঊর্মিলাকে পাননি।
এর কিছুক্ষণ পর লোকমারফত খবর পেয়ে গোটাটিকর এলাকার একটি বাড়িতে ছাতক থানা পুলিশ ও দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় একই উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের রোকন আহমদ (২৮) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট নগরের কদমতলি এলাকায় গাড়িটি পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয়রা গাড়িটি ধাওয়া করলে দুষ্কৃতিকারীরা শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা থানা ও ছাতক থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম
Advertisement