ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে বেডের সঙ্কট, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের অভাবে চারদিকে হাহাকার শুরু হয়েছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এদিকে, পাঞ্জাবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে যে হারে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তার লাগাম টানতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সোমবার রাতে এক টুইট বার্তায় সাধারণ জনগণকে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা এবং সবাইকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শুধুমাত্র প্রয়োজনেই লোকজনকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অন্যান্য রাজ্যের মতো পাঞ্জাবেও গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছেই। গত ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৬শ'য়েরও কম সেখানে এখন দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৭ হাজার।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাবে নতুন করে ৬ হাজার ৯৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৭৬ জন। ওই রাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার।
গত শনিবার পাঞ্জাবের অমৃতসর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অক্সিজেন সহজলভ্য করতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। ওই রাজ্যে প্রতিদিন ২০৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই চাহিদা আরও বাড়তে পারে।
মেডিকেলে অক্সিজেন ঘাটতি কমানোর জন্য রোববার পাঞ্জাবের সব লোহার এবং স্টিলের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
Advertisement
এর আগে কর্নাটকেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দুই সপ্তাহের লকডাউন জারি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে লকডাউন কার্যকর হবে। এদিকে রোববার দিল্লিতে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
টিটিএন/জিকেএস