গাজীপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণের পর নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনায় মো. রুবেল হোসেন (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Advertisement
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। রুবেল কালীগঞ্জ উপজেলার নরুন মধ্যপাড়া এলাকার উসমান গনির ছেলে।
গাজীপুর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, গত বছরের ২৩ জুন সকাল ৭টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার পানজোরা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন তাহমিনা বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর দুদিন পর ২৫ জুন উপজেলার নগরবেলা এলাকার বাহুরঘাটে বালু নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে নিহতের বড় বোন মোছা. জাহানারা উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পে এসে মরদেহটি শনাক্ত করেন।
এসআই আরও জানান, ‘এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে ভিকটিম তাহমিনাকে ধর্ষণের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছর ৩০ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
Advertisement
তিনি জানান, তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. রুবেল হোসেনকে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেফতার রুবেল ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। সোমবার দুপুরে তিনি গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামি রুবেল তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, তিনি এবং তার সহযোগী আসামিরা নাগরী ইউনিলিভার ফ্যাক্টরিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে চাকরি করতেন। নিহত নারীও সেখানে চাকরির জন্য যান। তারা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কারখানার পার্শ্ববর্তী তাদের মেসে নিয়ে যান। রুবেলসহ সহযোগী অন্যান্যরা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে উলুখোলা ব্রিজে নিয়ে গিয় তারা ওই নারীর মুখ চেপে ধরে বালু নদীতে ফেলে দেন।
এসআই মোশারফ আরও জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসজে/এমএস
Advertisement