ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত কয়েকদিনে দেশটিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে বেডের সঙ্কট, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের অভাবে চারদিকে হাহাকার শুরু হয়েছে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে এবার বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হতে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবারের সঙ্গে থাকলেও মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় কাউকে বাড়িতে আমন্ত্রণ না জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতে অক্সিজেন যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু সেগুলো হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা সম্ভব হচ্ছে না বলেই অক্সিজেনের অপ্রতুলতায় ভুগছেন করোনা রোগীরা।
Advertisement
এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই। কেন্দ্র এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। পরিবহন যাতে সহজ হয় সেই চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। ভারত বিদেশ থেকে অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা করছে।
এক্ষেত্রে ভারত অক্সিজেন ভাড়াও নিতে পারে বা কিনতেও পারে। বর্তমানে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের পরিবহনই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলোর মুভমেন্ট জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করছে যাতে দ্রুত তা প্রতিটি জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। এরপরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত জর্জরিত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে মানুষকে বাড়িতেও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই যেন বিশ্বরেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় মেতেছে ভারত। গত সপ্তাহে বিশ্বে প্রথমবারের মতো একদিনে তিন লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিল সেখানে। এবার সাড়ে তিন লাখ রোগী শনাক্তের মহারেকর্ডও নিজেদের করে নিল তারা।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এসময় মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ৮১২ জন। ভারতীয় মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিলের (আইসিএমআর) তথ্যমতে, গত রোববার পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২৭ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গতকালই পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ২ হাজার ৩৬৭টি।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ