আন্তর্জাতিক

লাশবাহী যান না পেয়ে বাবার মরদেহ গাড়ির ছাদে বেঁধে শ্মশানে ছেলে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেনের জন্য চলছে হাহাকার।

Advertisement

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয়ে ইতোমধ্যে বিরোধীদলের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার রাজ্যে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই।

সেই যোগীর রাজ্যের এরকম দুটি ছবি সামাজিক মাধ্যম থেকে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। যা দেখলে তার দাবি নিয়ে সন্দেহ জাগতেই পারে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাশবাহী গাড়ি না পেয়ে প্রাইভেটকারের ছাদে বাবার মরদেহ অন্ত্যেষ্টির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্বামীর মুখে নিজের মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করছেন এক নারী।

প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি লাল রঙের প্রাইভেটকারের ছাদে সাদা চাদরে মোড়া একটি মরদেহ। এটি আগ্রার মোহিত নামের এক ব্যক্তির বাবার দেহ বলে জানা গেছে। যিনি সম্প্রতি করোনায় মারা যান। কিন্তু শেষকৃত্যের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়ার কোনো গাড়ি পাননি মোহিত। অবশেষে নিজেদের গাড়ির ছাদে বাবার দেহ বেঁধে আগ্রার মোক্ষধামে নিয়ে যান শেষকৃত্যের জন্য।

Advertisement

তবে এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। উত্তরপ্রদেশে শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানের বাইরে রীতিমতো টিকিট কেটে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে মানুষকে।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে কোনোরকমে শুয়ে আছেন এক ব্যক্তি। আর তার মুখে মুখ দিয়ে এক নারী অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করছেন।

সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোথাও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই স্বামীকে বাঁচাতে নিজের মুখ দিয়েই কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করছিলেন সেই নারী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাকি তাকে বাঁচানো যায়নি। এটিও উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে টুইটে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হয়ে গেছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল বাঘেল রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তার অভিযোগ, এই অতিমারির পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি সর্বতোভাবে ব্যর্থ। আর বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

Advertisement

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

এমআরআর/জিকেএস