চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামে কৃষিজমিতে পুকুর খনন করার নামে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত সেনেরহুদা গ্রামের বসতি পাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী আকুব্বরসহ (৬০) তার সহযোগীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থল থেকে একটি মাটি খনন করার যন্ত্র (এস্কেভেটর) জব্দ করেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত আলী আকুব্বরকে সোমবার (২৬ এপ্রিল) জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালতের সার্বিক সহযোগিতা করেন। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও আলী আকুব্বর ইটভাটায় মাটি বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন।
Advertisement
ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলী আকুব্বর বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামের দিঘড়ির মাঠে কৃষিজমি থেকে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ৫০-৬০টি মাটি বোঝায়কৃত ট্রাক বেপরোয়া গতিতে গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া-আসা করত। এতে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টি জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিনের কাছে অভিযোগ করেন। গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দিন জানান, অবৈধভাবে কেউ কৃষিজমির মাটি কেটে এবং পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাউদ্দীন কাজল/এসআর/জেআইএম
Advertisement