জাতীয়

পল্টন থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও ২ মামলা

হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে মোটরসাইকেল পোড়ানোর দায়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে আবাব আহমেদ রজবী ও মো. রুমান শেখ নামে দুই ব্যক্তি পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, তারা মামলায় অভিযোগ করেন, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের সামনে আন্দোলনের নামে হেফাজতে ইসলামের লোকজন তাদের দুজনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। আন্দোলনের নির্দেশদাতা হিসেবে মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেছেন তারা।

এই মামলায় হেফাজতের আরও তিন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- সংঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও নাছির উদ্দিন মনির। তাদের বিরুদ্ধেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়।

Advertisement

এদিকে, আজ বিকেলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তানের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা ছিল। ২০০৫ সালে তিনি পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটান। এছাড়া সরকার উৎখাতে মামুনুল হক সব ধরনের পরিকল্পনাও করেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে ৪০ দিন অবস্থান করেন মামুনুল হক। সেখান থেকে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন বলে জানান হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, ভারতের বাবরি মসজিদের নামে ভারত বিদ্বেষী বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি আনতেন হেফাজতে নেতা মাওলানা মামুনুল হক। মামুনুলকে রিমান্ডে নেয়ার পরে তার মোবাইলটি জব্দ করা হয়। সেই মোবাইল থেকে অনেক তথ্য তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষ করে, তার মোবাইলে কাতার, দুবাই, পাকিস্তানসহ অনেক দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা আসতো।

ডিসি হারুন বলেন, রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের মোবাইল আমরা জব্দ করেছি। ভারতের বাবরি মসজিদের নামে ভারত বিদ্বেষী বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি আনতেন মামুনুল। টাকাগুলো বিকাশের মাধ্যমে আনা হতো। বাবরি মসজিদের নাম দিলে ইসলামিক সেন্টিমেন্ট পাবে অন্যদিকে ভারত বিদ্বেষী লোকের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবে এজন্য বাবরি মসজিদের নামে টাকাগুলো আনা হতো।

Advertisement

টিটি/এমএসএইচ/এমকেএইচ