আন্তর্জাতিক

বাগদাদে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ তে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১১০ জন। হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়ে মুখপাত্র খালিদ আল-মুহান্না বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন দুঃখজনক ঘটনা এড়াতে সকল হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের জরুরিভিত্তিতে খতিয়ে দেখতে হবে।’

বাগদাদের দিয়ালা সেতু এলাকায় শনিবার রাতে ইবনে খতিব হাসপাতালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তবে ইরাকের আধাসরকারি মানবাধিকার হাই কমিশনের সদস্য আল বায়াতি বলেছেন, মৃত্যুর মোট সংখ্যা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সংখ্যাটি ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে হবে।

Advertisement

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অপরদিকে আতঙ্কিত লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমি এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল কাধিম বোহান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

অগ্নিকাণ্ডের সময় রোগীদের বাঁচাতে তাদের স্বজনরা হাসপাতালের ভেতর হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করেন।

Advertisement

ভাইকে দেখতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, লোকজন বাঁচার জন্য জানালা থেকে লাফ দিচ্ছিল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, রোববার সকালের দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

তবে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনার কয়েক ঘণ্টা পরেও বেশ কিছু পরিবারকে হাসপাতালে দেখা গেছে। তারা তাদের স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছেন না।

দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ, অবরোধ ও অবহেলায় ইরাকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই ইরাকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮। এর মধ্যে মারা গেছে ১৫ হাজার ২১৭ জন।

এমকে/জেআইএম