আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের আগেই দেশের বিভিন্ন জায়গার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভা নির্বাচনে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব সামসুল আলম।ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা জোরদার ও একইসঙ্গে তালিকা প্রণয়ন করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।সর্বস্তরের ভোটারদের বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এ উদ্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে সব শ্রেণির ভোটার, বিশেষ করে সংখ্যালঘু ও নারী ভোটার যেন পূর্ব থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।এদিকে পেশী-শক্তির প্রভাব মুক্ত নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। বলা হয়েছে- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উস্কানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে।একইসঙ্গে অর্থ, পেশী-শক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ যেন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারেন এবং প্রার্থীদের মধ্যে যেন পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে; সে নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সহযোগীতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও বলেছে ইসি।অন্যদিকে পুলিশসহ অন্যান্য সহযোগী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেলও মাঠে থাকছে। এ সেল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে জানাবে।এইচএস/আরএস/এমএস
Advertisement