বগুড়ার গাবতলীতে মদ পানে (স্পিরিট) শহিদুল ইসলাম (২৮) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পশ্চিম মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মারা যাওয়া শহিদুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনা ছাড়াও একই ধরনের বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য পানে হাসেন আলী ও মুলা মিয়া নামের আরও দুজন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে নাম ছাড়া তাদের বিস্তারিত পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা অ্যালকোহল) বিক্রি করার সন্দেহে রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে গাবতলীর গোলাবাড়ি বন্দরের বিউটি হোমিও হলের মালিক বাহানুল আলম বাদলকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
মদ পানে মৃত্যুর খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন ও গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তবে শহিদুল ইসলামের পরিবার জানান, বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (স্পিরিট) পানে নয় বরং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহিদুল ইসলাম মারা গেছে।
এ ব্যাপারে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, যেহেতু নেশা জাতীয় দ্রব্য (স্পিরিট) পানে মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে জন্য মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।
সম্প্রতি বগুড়া শহরে একই ধরনের বিষাক্ত মাদক পান করার ঘটনায় মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এরপর বারবার অভিযান চালালেও বিষাক্ত মদ বিক্রি বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ।
Advertisement
এসজে/এমএস