জাগো জবস

শিক্ষকতা পেশার জন্য দুটি প্রস্তাব

বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় সরকার বিবেচনা করতে পারে। একটি- পোষ্য কোটা আরেকটি- প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেওয়া। দুটি প্রস্তাবের পেছনে যৌক্তিকতা রয়েছে। কারণ শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতা নিঃসন্দেহে একটি মহান পেশা। এই মহান পেশার সঙ্গে শিক্ষকদের সন্তান-সন্ততিরা জন্মগতভাবেই সমধিক পরিচিত এবং এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল।বর্তমান চাকরির বাজারে অন্যান্য চাকরির সঙ্গে এটিও সোনার হরিণের মতো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বলা যায়। তাই শিক্ষক নিয়োগে এনটিএসসির যোগ্যতার মানদণ্ডে শিক্ষকদের সন্তান-সন্ততিরা যদি ন্যূনতম কোয়ালিফাইং নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য বলে বিবেচিত হন তাহলে ‘পোষ্য কোটা’য় অন্যান্য সরকারি নিয়োগের মতো তাদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান চালু করা যেতে পারে।আমরা জানি, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় অ্যাসেম্বলি (সমাবেশ) ক্লাসের মাধ্যমে। লাইন ধরে শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এই ক্লাস করে থাকে। তাতে মাঝে মাঝে দেখা যায় কোনো কোনো দিন লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ২-৩ জন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবাদানে কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য সহকারী হাতের কাছে পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রেই এতে বড় ধরনের ক্ষতিও হয়ে যায়। তাই তাৎক্ষণিক তাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে একজন নিয়োগকৃত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য সহকারী হাতের কাছে থাকলে এই উপস্থিত বিপত্তি থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া সম্ভব। এছাড়া প্রত্যেক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একজন চিকিৎসক থাকা এমনিতেই প্রয়োজন। যেটা বিভিন্ন দেশেও দেখা যায়।তাছাড়া শহরাঞ্চলের স্কুলের কাছাকাছি যদিওবা চিকিৎসক পাওয়া যায়, কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের বড়ই অভাব। তাই এনটিএসসির নিয়োগ বিধিমালায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেওয়া সময়ের দাবি।আশা করি, কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দেখবেন।লেখক: শিক্ষকএসইউ/এমএস

Advertisement