দেশজুড়ে

ঢাকায় ফিরছে মানুষ, গলাকাটা ভাড়া দিয়েও পথে পথে ভোগান্তি

রাত পোহালেই খুলছে কর্মস্থল। অথচ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৪ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট হয়ে রাজধানী ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের পথে পথে ভোগান্তি ও গলাকাটা ভাড়া গুনতে হয়েছে। এদিন ঘাটে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফেরা হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়।

Advertisement

সরজমিনে শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা একেকটি ফেরিতে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী শিমুলিয়াঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। এরপর ব্যাটারিচালিত অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেলে করে রওনা হচ্ছেন গন্তব্যে। লকডাউনে ঘাট এলাকায় যাত্রী চলাচল এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সীমিত থাকলেও এদিন বাড়তি যাত্রীর চাপ দেখা গেছে পুরো ঘাটজুড়ে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেলচালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। পথে পথে বাধা দিচ্ছে পুুলিশ।

বখতিয়ার নামে একজন যাত্রী জানান, তিনি বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে বাংলাবাজারে এসেছেন সাড়ে ৫০০ টাকায়। এবার শিমুলিয়াঘাট থেকে ঢাকার কদমতলি যেতে মোটরসাইকেলচালকরা চাইছেন সাড়ে ৭০০ টাকা। বাসেএই পথ যেতে সর্বোচ্চ ৬৫-৭০ টাকা লাগে।

Advertisement

দোকান কর্মচারি আরাফাত হোসেন জানান, ‌দোকান তো খুলছে, যেভাবেই হোক ঢাকায় যেতেই হবে। বাস বন্ধ, এখন বিভিন্ন পরিবহনে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। ভাড়া দুই-তিনগুণ বেশি দিতে হচ্ছে।

দবিরুল নামের আরেক যাত্রী বলেন, বেশি ভাড়া দেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বাধ্য হয়েই যাচ্ছি, যেতে তো হবেই। দীর্ঘপথ হেঁটে তো আর যাওয়া যায় না।

হুমায়ুন নামের একজন বলেন, যাত্রী বেশি, গাড়ি কম। এই সুযোগেই চালকরা ভাড়া বেশি নিতে পারছে। বেশি ভাড়া না দিলে গাড়িতে উঠতেই দিচ্ছে না।

সিএনজি চালকরা জানান, তারা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করেছে রাস্তায়। পুলিশ গাড়ি আটকালে জরিমানা গুনতে হবে। তখন তো যাত্রী তাদের বাঁচাবে না। তাই অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া তারা যাচ্ছেন না। তবে ঠিক কোথায়, কারা চাঁদা নিচ্ছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সিএনজি চালকরা।

Advertisement

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএএইচ