জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চট্টগ্রামে অভিযানে ২২ মামলা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে অব্যাহত অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Advertisement

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২২ মামলায় মোট ৬ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে সচেতনতার জন্য ৮০০ পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরের খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই মামলায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একই সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান পাচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয় মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান কোতোয়ালি, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাত মামলায় দুই হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

Advertisement

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয় মামলায় এক হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান মেহেবুব, মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, মো. আশরাফুল আলম ও মিজানুর রহমান নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।

এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে আরও দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ও প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, ‘কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আজও নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি সচেতনতার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।’ জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মিজানুর রহমান/এএএইচ

Advertisement