বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আগের তুলনায় করোনাভাইরাসে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রা বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ডাবল ভ্যারিয়েন্টে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতের এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট যাতে দেশে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএসএমএমইউ সি ব্লকের ১০ম তলায় ১০ বেডের নতুন আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধন করা এ আইসিইউতে নন-কোভিড রোগীরাও ভর্তির সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে কেবিন ব্লকের ৮ম তলায় অবস্থিত নন-কোভিড রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হবেন। অর্থাৎ নন-কোভিড রোগীদের জন্য নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউর সংখ্যা আরও ১০টি বৃদ্ধি পেল।
Advertisement
এছাড়াও বর্তমান প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেবিন ব্লকের ৭ম তলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ বেডের আইসিইউ চালু রয়েছে। নতুন এই আইসিইউ ইউনিট চালুর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড ও নন-কোভিড মিলিয়ে মোট আইসিইউ বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০টিতে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউসহ করোনা রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫০টি।
উদ্বোধনের সময় বিএসএমএমইউ (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুরে হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ‘জিরো ভাইরাস এবং এন্টিজেন টেস্ট’ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ
Advertisement